মোঃ শহিদুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার):বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শব্দলদিঘী গ্রামে পিতার দেওয়া সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর-দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারের মহাস্থান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায়, মহাস্থান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ঠান্ডা মিয়ার স্ত্রী আদরী বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার স্বামী মোঃ ঠান্ডা মিয়া ফকির (৪৫)। তার পিতা মোজাম্মেল হক ফকির জীবদ্দশায় তফশিল বর্ণিত শিবগঞ্জ, মৌজা- শব্দলদিঘী, খতিয়ান নং- ২২০, খতিয়ান-৭৮৯, দাগ নং-৯৩২/১৪০২, জমির পরিমান- ১২ শতক, রকম- পুকুরপাড়। যার রেজিঃ নং ১৭২২ এ দানপত্র হেবা দলিল মূলে দলিল করে দেন। শ্বশুরের দেওয়া সম্পত্তিটিতে ঘর দরজা নির্মাণ করে, গাছপালা লাগিয়ে প্রায় ২০/২২ বছর ধরে ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। কিন্তু ১। মোঃ আব্দুল মান্নান ফকির (৬০), ২। মোঃ আব্দুল হালিম বিপ্লব (৪০), উভয়ের পিতা- মৃত মোজাম্মেল হক ফকির, ৩। মোছাঃ শারমিন বেগম (৩০), স্বামী- মোঃ আব্দুল হালিম বিপ্লব, সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। আমরা গরীব হওয়ায় উক্ত বসত বাড়ী সংলগ্ন কিছু ফাঁকা জায়গা তারা পেশি শক্তির জোরে জবর-দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় আমার স্বামী নিরুপায় হইয়া জেলা বগুড়া শিবগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বরাবরে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৩৩৩, উক্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি স্থিতিশীল রাখতে উভয়কে জমিতে অনধিকার প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা করেন। আদালতের উক্ত আদেশের পরও ৩নং বিবাদী শারমনি বেগম আমাকে ও আমার স্বামীর ঠান্ডা মিয়ার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। থানা হতে উক্ত অভিযোগ তদন্ত অন্তে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীগণ বিজ্ঞ আদালত এবং থানার মৌখিক নির্দেশ অমান্য করিয়া গায়ের জোরে আমাদের উক্ত সম্পত্তি জবর-দখল করতে ঘর দরজা নির্মাণের জন্য ইং ২৩/০৯/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১টায় ইট, বালু মজুদ রাখেন। যে কোন মুহূর্তে তারা আমাদের উক্ত জমিতে জোরপূর্বক ঘর-বাড়ি করার জন্য পায়তারা করিতেছে। আমরা তাদের বাধা প্রদান করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আমাদের হত্যার হুমকী প্রদান করে। এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ঠান্ডা মিয়া ফকির গং।