দেবাশীষ মজুমদার ( দিপু ) পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদ এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার—কেউই পুরোপুরি পলিথিন বন্ধে সফল হতে পারেনি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিবেশ সুরক্ষার অংশ হিসেবে ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপ এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিলেন—”আগে যা হয়েছে হয়েছে, এবার পলিথিন নিষিদ্ধ হবেই।” কিন্তু বাস্তবে চিত্র ভিন্ন।
চকবাজার ও লালবাগ এলাকায় পলিথিন নিয়ন্ত্রণে বহুদিন ধরে পরিচিত নাম ছিলেন হাজী মুরাদ। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ, প্রশাসনের কিছু অংশ ও মিডিয়ার প্রভাব এবং নিজস্ব বাহিনী ব্যবহার করে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তবে বর্তমানে তার প্রভাব কিছুটা কমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখন এই এলাকায় নতুনভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন জুয়েল হাজী। লালবাগ ও চকবাজারে পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে তার নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। মুরাদ হাজী ও তার বাহিনী বর্তমানে অনেকটা নীরব থাকলেও জুয়েল হাজী এখন সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
ফলে সরকারের ঘোষণার পরও পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে, পরিবেশ রক্ষার লড়াই আবারও ব্যর্থতার গল্প হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আগামী নিউজে থাকবে জুয়েল হাজী সহ আরো অনেক এর বিস্তারিত