ক্রাইম প্রতিবেদকঃ সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের এক প্রতারক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লন্ডন নেওয়ার কথা বলে ৪ ব্যক্তির কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌরশহরের চুবড়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান রাসেল নামের ঐ ব্যক্তি ওয়ার্কপারমিট ভিসায় ৬ মাসের মধ্যে লন্ডন নেওয়ার কথা বলে তাহার বাতিজা সামিউল ইসলাম শাকিল এবং শাকিলের বাবা ফয়জুল ইসলাম এই দুইজনের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ৫৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকা লেনদেনের প্রমান এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। মূলত হাবিবুর রহমান রাসেলের স্থায়ী ঠিকানা হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা এলাকার লন্ডন প্রবাসী জুনেদ আহমদ কাছ থেকে ওয়ার্কপারমিট ভিসায় ৬ মাসের মধ্যে লন্ডন নেওয়ার কথা বলে ৫৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রবাসী জুনেদ
তাহার ৪ আত্নীয়কে লন্ডন নিতে টাকা গুলো দিয়েছেন।
ভূক্তভোগী জুনেদ গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা এলাকার বাসিন্দা। প্রতারণার শিকার জুনেদ এই প্রতিবেদকে বলেন লন্ডন প্রবাসী হাবিবুর রহমান রাসেল আমাকে বলেন আপনার আত্নীয় স্বজন থাকলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আনতে পারবেন, একটি সুযোগ আছে। পক্ষান্তরে তিনি বলেন খরচ কতো লাগবে, তখন রাসেল জুনেদকে বলেন ৩০ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। ৫০% টাকা অগ্রিম দিতে হবে। তিনি বলেন ঠিক আছে আমার আত্নীয় স্বজনের সাথে আলাপ করে জানাবো। কিছুদিন পর রাসেল আবার জুনেদকে বলেন আলাপ হয়েছে কিনা, তখন তিনি বলেন আলাপ হয়েছে ৪ জন আত্নীয় স্বজন যেতে চায় মোট কতো টাকা দেওয়া লাগবে, তখন দুজনের মধ্যে আলাপ- আলোচনার পর ৪ জনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাবদ ১কোটি ১০ লক্ষ টাকা সাভ্যস্ত করা হয়। এরপর ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রবাসী জুনেদ হাবিবুর রহমান রাসেল এর বাতিজা সামিউল ইসলাম শাকিল এবং শাকিলের বাবা ফয়জুল ইসলাম এর ব্যাংক একাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর থেকে হাবিবুর রহমান রাসেল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নেবো নিচ্ছি বলে সময় অতিবাহিত করলেও হাবিবুর রহমান রাসেল তাদের কোন কাজ না করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে। প্রথম দিকে টাকা ফেরত দেবার আশ্বাস দিলেও এখন টাকা দিবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে। লন্ডন নেওয়াতো দূরের বিষয় টাকা চাইলে গালিগালাজ ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। প্রতারক রাসেল তার শশুর বাড়ীর প্রভাব দেখাচ্ছে বলে ভূক্তভোগীর অভিযোগ।
বিশ্বস্থ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে হাবিবুর রহমান রাসেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কথা বলে যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা তাহার স্ত্রী তাবাচ্ছুমা সাফা ও শশুর গৌছুর রহমানকে দিয়েছে। হাবিবুর রহমান রাসেল এর শ্বশুর সিলেটের বিমানবন্দর থানার চৌকিদিকি এলাকার বাসিন্দা। প্রতারক হাবিবুর রহমান রাসেল লন্ডন শহরের 65 ARMSTEAD ROAD, PENDEFORD, WOLVERHAMPTON, WV9 5RF. বসবাস করছে বলে ভোক্তভোগী জানিয়েছন।