মাসুদ রানা মাসুম, রুমা, বান্দরবান।
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় টোল ট্যাক্সের নামে চরম চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে রুমা বাজারে স্থানীয় নাগরিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বিশেষভাবে রুমা ২নং ইউনিয়ন পরিষদের টোল আদায় পদ্ধতিকে “মহা চাঁদাবাজি” আখ্যা দেন।
কক্ষংঝিড়ি টোল পয়েন্ট: মানুষের দুঃখের কাঁটা। মানববন্ধনে কৃষক ও ব্যবসায়ী আব্দুল করিম, সাবেক মো; খালেক মেম্বার ও মো আরিপ অভিযোগ করেন, ২নং রুমা ইউনিয়নের কক্ষংঝিড়ি এলাকায় স্থাপিত টোল পয়েন্টে প্রতিদিন অতিরিক্ত টোল আদায় হচ্ছে। গাড়ি থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য বহনকারী শ্রমিক—সবাইকে বাধ্য করা হচ্ছে টোল দিতে।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
এ টোল পয়েন্ট আসলে সরকারি অনুমোদিত নয়, এটি জনগণের পকেট কেটে মহা চাঁদাবাজি। এবং বাজার ফন্টের টোল ট্যাক্স আদায় নিয়েও ক্ষোপ প্রকাশ করেন।
প্রান্তিক কৃষক ক্যউসিং মারমা বলেন,
আমরা ফসল নিয়ে আসি, কিন্তু কক্ষংঝিড়ি টোল পয়েন্টে এমন হয়রানি হয় যে ন্যায্যমূল্য পাওয়া তো দূরের কথা, উল্টো লোকসান গুনতে হয়।
আরেক কৃষক জানান রুমা উপজেলার
সিন্ডিকেট ও ইজারাদারেরা একজোট হয়ে কৃষকদের সর্বনাশ করছে। টোলের নামে যা চলছে, সেটি প্রকাশ্যে ডাকাতি।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, বাজার ফান্ডের নামে অতিরিক্ত টাকা তুলছে ইজারাদাররা।
ব্যবসায়ী অভিযোগ বলেন, রুমা ২ নং ইউনিয়ন পরিষদে টোলের নামে একবার টাকা দেয়া হয়, আবার বাজার ফান্ডের নামে আলাদা টাকা আদায় করা হয়। এটা দ্বৈত চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।
২নং ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষংঝিড়ি টোল পয়েন্টসহ রুমা উপজেলার সকল টোল আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।তাছাড়া রুমা উপজেলার চার ইউনিয়নে চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। ইউনিয়ন ও বাজার ফান্ডের নামে জনগণের অর্থ লুটপাট বন্ধ করতে হবে।কৃষক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকারি মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন
২নং ইউনিয়নের এ মহা চাঁদাবাজি প্রশাসনের অগোচরে কিভাবে চলছে? নাকি প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় চলছে এই টোল ব্যবসা?
মানববন্ধনে জনগণ এককথায় উচ্চারণ করেছেন
রুমায় টোল নয়, মহা চাঁদাবাজি চলছে। রুমা ইউনিয়ন পরিষদ টোল ও বাজার ফান্ড উভয়ই অবিলম্বে বন্ধ চাই।
স্থানীয়দের মতে, সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রুমার অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবন আরও বিপর্যস্ত হবে।