বরগুনা জেলা প্রতিনিধি”‘
বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরীচন্না ইউনিয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে ওয়ার্ড কমিটি, পরে ইউনিয়ন কমিটি যাচাই-বাছাই করে সদস্যদের স্বাক্ষরসহ তালিকা উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরে দাখিল করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। প্রজ্ঞাপন অনুসারে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যরা ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি থাকার কথা। কিন্তু গৌরীচন্না ইউনিয়নের তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যই জানান, বাছাই কমিটির বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব সরকারি বিধি উপেক্ষা করে নিজস্ব লোকজন দিয়ে তালিকা প্রণয়ন করেছেন। ফলে অনেক ইউপি সদস্যের সুপারিশকৃত নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যরা জানান, “আমরা শুধুমাত্র একটি রেজুলেশনে উপস্থিতির স্বাক্ষর করেছি, কোন তালিকায় স্বাক্ষর করিনি।”
বাছাই কমিটির সদস্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, “আমি উপস্থিত ছিলাম, তবে কোন তালিকায় আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়নি।” সহকারী অধ্যাপক মো. জহিরুল হক বলেন, “আমরা কয়েকদিন পরিশ্রম করে বাছাই করেছি, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে প্যানেল চেয়ারম্যান-সচিবের পছন্দমতো। বিষয়টি ইউএনওকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।”
ইউপি সচিব মো. ওমর ফারুক স্বীকার করে বলেন, “বাছাইয়ের সময় সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, তবে তালিকায় স্বাক্ষর নেয়া হয়নি।”
প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমরা স্বাক্ষরিত কোন তালিকা জমা দেইনি, উপজেলায় বসে ইউএনও স্যার আমার স্বাক্ষর নিয়েছেন।”
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, “ওয়ার্ড কমিটি তালিকা দেবে, ইউনিয়ন কমিটি তা আমাদের কাছে পাঠাবে—এটাই নিয়ম।” তবে নিয়ম মানা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে ফোন কেটে দেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরগুনার উপপরিচালক রূপ কুমার পাল জানান, ভিডব্লিউবি কার্যক্রম সরাসরি ইউএনও দেখাশোনা করেন। তবে একাধিকবার কল করলেও বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াসিন আরাফাত রানা ফোন ধরেননি।