নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ ও উপজেলা সাধারন সম্পাদক মোঃ সাবু খান এর ০৫/০৫/২০২৫ ইং তারিখে সাক্ষরিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নাউতারা ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিছু পদে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে জানা যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার এর হাতে ফুলের তোড়া হাতে দিয়ে আওয়ামী লীগের যোগদান করেন উক্ত নেতাকর্মীগন।
একটি ছবিতে দেখা যায় শ্রমিক দলের ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ রশিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের এমপি সরকারের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যোগদান করেন। এবং তখন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন।
আরেকটি ছবিতে দেখা যায় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম ইসলাম আফতাব উদ্দিন সরকার হাতে ফুলের তোড়ার মাধ্যমে যোগদান করার পর থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি ডিমলা উপজেলার আগুনখাওয়া টিমের নেতা হিসেবে নিজেকে অধিস্থীত করেছিল। তার নেতৃত্বেই নাউতারা সহ বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-বিএনপির লোকজনকে হয়রানি করা ছিলো তার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এমনকি যুবলীগ নেতা পারভেজ এর নির্বাচনে তার আচার আচরন ছিলো সন্ত্রাসীর ভূমিকায়।
তার বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কাজের পুরস্কার স্বরুপ সে আওয়ামী লীগ এর অটো রিস্কা টেম্পু শ্রমিক ফেডারেশন এর নাউতারা ইউনিয়ন সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়। তিনি এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেননি।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নাউতারা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সেক্রেটারি পদে আসিন হয়েছেন। অপর দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রায়হান কবির জাদু মিয়া আওয়ামী লীগের এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের জামতা মোঃ কামরুল ইসলামের একজন একনিষ্ট কর্মী ছিলেন।
অপরদিকে সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন ও একজন আওয়ামী লীগ কর্মী।
এরকম কমেটি দেখে ত্যাগীরা হতাশ আর জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রকার আলোচনা – সমালোচা। কেউ কেউ এটাকে আওয়ামী লীগের কমেটি বলেও তিরস্কার করিতেছেন।